মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্গত হরিরামপুর উপজেলাধীন পূর্ব খলিলপুর গ্রামে সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি এ,কে,এম নূরুল ইসলাম এর গ্রামের বাড়ির পাশে ইছামতি নদীর পশ্চিম পাশে বিদ্যালয়টি মোট ৫৩ শতাংশ ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ের ২টি পাকা ভবন আছে, যাহার ১টি দু’তলা (১০০Î২৮)ফুট এবং অন্যটি একতলা (১০০Î২৮)ফুট। এহেন ভবনে শ্রেণীকক্ষ ৯টি, অফিস কক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকসহ ১টি এবং অন্যান্য ৪টি সর্বমোট ১৪টি কক্ষ বিদ্যমান আছে।
মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্গত হরিরামপুর উপজেলাধীন পূর্ব খলিলপুর গ্রামে সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি এ,কে,এম নূরুল ইসলাম এর গ্রামের বাড়ির পাশে ইছামতি নদীর পশ্চিম পাশে বিদ্যালয়টি মোট ৫৩ শতাংশ ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ের ইতিহাস হিসাবে উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টি সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ,কে,এম নূরুল ইসলাম এর সহ-ধর্মিনী “কবি জাহানারা আরজু” এর নামে ১৯৮৬ সনে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠিত হইয়া পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে সহশিক্ষাসহ কো- অর্ডিনেট উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী, ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ২ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আছে। সকল শিক্ষকবৃন্দই বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং তাহাদের মধ্যে ০৪ জন মহিলা শিক্ষকসহ সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন মাস্টার ডিগ্রীধারী ০৪ জন শিক্ষক আছেন। বিদ্যালয়ের মোট ১৮১ শতাংশ নিজস্ব ভূমি আছে। ১৯৮৬ সনের ২১শে অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করণের লক্ষ্যে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন পূর্বক সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি এ,কে,এম নূরুল ইসলাম এর ব্যক্তিগত আর্থিক অনুদান ও বিধি মোতাবেক দানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অত্র বিদ্যালয় তাঁরই সহধর্মিনীর নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। যাহা বর্তমানে কবি জাহানারা আরজু উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিত। বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ সনে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হইয়া ১৯৮৮ সনে এমপিও ভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সনে পাকা একতলা, যাহা সম্প্রসারণ করত: ২০০৮ সনে পাকা দু;তলা ভবন নির্মিত হয় এবং ২০১৩-১৪ সনে সরকারী অনুদানে অন্য ১টি একতলা ভবন নির্মিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের পড়াশুনা, পরীক্ষার ফলাফল, সাংস্কৃতিসহ অন্যান্য খেলাধুলায় অত্র উপজেলার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি ও খ্যাতি লাভ করিয়াছে। ২০১৪ সনে সর্বশেষ এস,এস,সি ফলাফলে ও আন্ত: উপজেলা শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গৌরব অর্জন করিয়াছে। এমনকি জাতীয় আন্ত: উপজেলা শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পরপর তিনবার চ্যাম্পিয়ান হইয়া শতবর্ষের ঐতিহ্য “হ্যাট্রিক” করিবার অনন্য গৌবর অর্জন করিয়াছে। সর্বমেষ ১০১৪ সনে আন্ত: উপজেলা ফুটবল প্রতিযোগিতায় মানিকগঞ্জ জেলার “রানার্স আপ” গৌরব অর্জন করিয়াছে।
বিদ্যালয়ে বর্তমানে “এডহক কমিটি” বিদ্যমান আছে। যাহার তথ্য বিবরণ নিম্নরূপ-
০১। সভাপতি- জনাব শারমিন ইসলাম, বি,এ (অনার্স), এম,এ।
০২। সদস্য সচিব- জনাব রায়হান উদ্দিন আহম্মেদ,(বি,কম অনার্স এম,কম, বিএড) প্রধান শিক্ষক, কবি জা.আ.উ.বি।
০৩। অভিভাবক সদস্য- জনাব রঞ্জনা আক্তার- এস,এস,সি
০৪। শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য- জনাব রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস, বিএসসি, বিএড।
* কমিটির অনুমোদন: ০৫/০১/২০১৫।
বিগত ৫ বছরের জেএসসিও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল:
সন | মোট পরীক্ষার্থী র্র্ | A+ | A | A- | B | C | D | F | পাশের হার |
2010 | জেএসসি-৪৯ এসএসসি-৪৭ | 02 - | 04 03 | 10 08 | 14 10 | 07 16 | - 02 | 12 08 | ৭৬% ৯০% |
2011 | জেএসসি-৫৭ এসএসসি-৪৯ | 01 - | 04 04 | 06 03 | 10 10 | 07 21 | 02 - | 27 11 | ৫৩% ৭৮% |
2012 | জেএসসি-৬৮ এসএসসি-৪৯ | - - | 03 08 | 06 14 | 24 22 | 13 05 | 03 - | 19 02 | ৭৩% ৯৬% |
2013 | জেএসসি-৫২ এসএসসি-৩৬ | - 02 | 06 06 | 06 08 | 12 10 | 06 05 | 10 - | 12 05 | ৭৭% ৮৭% |
2014 | জেএসসি-৬৩ এসএসসি-৩৩ | - 01 | 07 04 | 17 14 | 21 07 | 08 05 | 01 - | 09 02 | ৮৬% ৯৪% |
বিদ্যলয়ের (৬ষ্ঠ-১০ম) শ্রেণী পর্যন্ত বালক বালিকা সমন্বিত সহ শিক্ষা কার্যক্রম সহ ৫টি শ্রেণী বিদ্যমান এবং বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, কম্পিউটার ও কৃষি শাখা অনুমোদন আছে। প্রতি বছরই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় অত্র উপজেলায় অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ফলাফল অর্জন করিয়া থাকে। প্রতি বছরই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ও অন্যান্য সংস্থার বৃত্তি ও বোর্ড বৃত্তি অর্জন করিয়া থাকে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ১০০% উত্তীর্ণ হয় এবং বিগত ৫ বছরের জেএসসি পরীক্ষায় ০২ জন ট্যালেন্টপুল ০৩ জন সাধারণ, ২০১১ সনে ০১ জন, ২০১২ সনে ০১ জন এবং ২০১৪ সনে এসএসসি পরীক্ষায় ০১ জন বোর্ড বৃত্তি লাভ করিয়াছে। তাছাড়া বিভিন্ন সংস্থায় গত ৫ বছরে প্রায় ০৯ জন সাধারণ বৃত্তি লাভ করিয়াছ।
বিদ্যালয় অর্জন ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্নে বিদ্যালয়টি (৬ষ্ঠ -৮ম) শ্রেণী পর্যন্ত বালিকা বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত ছিল। কালের ও প্রয়োজনের বিবর্তনে ১৯৯৬ সন হইতে অত্র বিদ্যালয়টি বালক-বালিকা সমন্বিত উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। উল্লেখ্য, ২০০৪ সন পর্যন্ত বিদ্যালয়টির তেমন উন্নতি ও অগ্রগতি না হইলেও ২০০৪ সন হইতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা, কৃষি ও কম্পিউটার শাখা অনুমোদন পূর্বক খোলা হয়। তাছাড়া যথাশীঘ্র প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগসহ একাডেমিক ভবন সম্প্রসারণ, নতুন ভবন নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি অত্র উপজেলার অন্যতম সেরা ও সুনাধন্য বিদ্যালয়ে পরিণত ও পরিচিতি লাভ করিয়াছে এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা হিসাবে অত্র বিদ্যালয়ে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত চালু করিবার পরিকল্পনা হইয়াছে। তাছাড়া একাডেমিক উন্নতি হিসাবে নব-নির্মিত ভবনের চারতলা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, ভবনের আরও সম্প্রসারণ করত: বিদ্যালয়ের একাডেমিক ও কক্ষ প্রয়োজন পূরণ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর দেওয়ালসহ বিদ্যালয়ের নামফলক গেইট তৈরী করা হবে। বিদ্যালয়টিকে অত্র উপজেলার মডেল স্কুল হিসাবে গড়িয়া তোলা হইবে এবং ১০০% পাশ নিশ্চিত করা হইবে।
রায়হান উদ্দিন আহম্মেদ, প্রধান শিক্ষক কবি জাহানারা আরজু উচ্চ বিদ্যারয়, সট্টি, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ। মোবাইল: 017146158867। উপজেলা হইতে রিক্সা/অটো যোগে কান্ঠাপাড়া বাজার হইয়া বহলাতলী গ্রামের ভিতর দিয়ে অত্র বিদ্যালয়ে যাতায়াত করা যায়।
যেহেতু বিদ্যালয়টি নব প্রতিষ্ঠিত এবং সময়কাল খুবই কম বিধায় তেমন প্রতিষ্ঠিত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ নেই। তবে বর্তমানে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত আছে। তাহারা অচিরেই কর্মক্ষেত্রে কর্মরত হইবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস