বয়ড়া ভাটিকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বয়ড়া ইউনিয়নের ভাটি বয়ড়া গ্রামের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে পদ্মা নদীর ২য় ভাঙ্গনের পর দাসকান্দি গ্রামে পুন: স্থাপন করা হয়েছে।
ভাটি কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাটি বয়ড়া গ্রামের স্বর্গীয় বাবু বৃন্দাবন মন্ডল এর বাড়ীতে ছনের চৌচালা গৃহে ১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে স্থাপন করা হয়েছিল। এখানে গ্রামের শিশু কিশোরদের লেখা পড়া শেখানোর লক্ষ্যে তৎকালীন গ্রামীন সমাজ ব্যবস্থায় জ্ঞানী গুনী ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় মাত্র ৫/- টাকা বেতনের মাধ্যমে স্বর্গীয় বাবু অক্ষয় কুমার রায় প্রাথমিক বিদ্যলয়ের কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করতেন। সুদীর্ঘ দিন এমন অবস্থায় কেটে যায়। ১৯৪৭ সালের পর পাকিস্থান হিসাবে দেশ স্বাধীন হলে পূর্ব পাকিস্থানের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলীকে ফ্রি প্রাইমারী স্কুল করা হয়। এই সময় স্বর্গীয় বাবু মথুরা রায় মহাশয়ের বাড়ীর পাশে ৩৩ শতাংশ জমি রায় মহাশয় দান করে ফ্রি প্রাইমারী স্কুল করেছেন। তাদের দানে বিদ্যালয় গৃহটি ছনের ঘরের পরিবর্তে টিনের চৌচালা গৃহ তৈরী করা হয়। এ সময় এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ম্যাট্রিক পাশের পর বাবু দীনেশ চন্দ্র মন্ডল এই বিদ্যালয়ে ৩৬ টাকা বেতনে চাকুরী গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী সময়ে তিনি প্রধান শিক্ষক হন। তার সুদক্ষ পরিচালনায় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায়। শিক্ষক পদ সৃষ্টি হয়। ৫টি পদের বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। বিদ্যালয়টি ১৯৮৫ সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি পায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় কীর্তিনাশা পদ্মা নদীর কড়াল গ্রাসে ১৯৯৬ সালে গ্রাম ও বিদ্যালয় ভেঙ্গে নিয়ে পূর্বের প্রধান শিক্ষক অবসর গ্রহণ করেন। তারপর চরকান্দি গ্রামে ১৯৯৭ সালে মোঃ আওলাদ হোসেন এর দানকৃত ৩৩ শতাংশ জমির ওপর টিনের চৌচালা গৃহ উত্তোলন করা হয়। এবং বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে থাকে। কিন্তু ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাস ১ বছর যেতে না যেতেই চরকান্দি গ্রাম আবার পদ্মা নদীতে ভেঙ্গে নিয়ে যায়। পরে বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে বর্তমান স্থানে পুনঃ স্থাপন করা হয়। এর জমিদাতা হলেন মাজেদ খান ও বাবু জীবন কুমার সরকার।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নাম ও ক্যাটাগরী দেয়া হলো:
ক্রমিক নং | নাম | ক্যাটাগরী | পদ |
---|---|---|---|
01 | মো: রজ্জব আলী | বিদ্যোৎসাহী | সভাপতি |
02 | জীবন কুমার সরকার | জমিদাতা | সহ: সভাপতি |
03 | সুবোধ চন্দ্র সরকার | মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সদস্য | সদস্য |
04 | মো: মোবারক হুসাইন | ইউপি সদস্য | সদস্য |
05 | ছালমা বেগম | অভিভাবক সদস্য | সদস্য |
06 | সুমী বেগম | অভিভাবক সদস্য | সদস্য |
07 | জিল্লুর রহমান | অভিভাবক সদস্য | সদস্য |
08 | শেখ ইন্তাজ উদ্দিন | অভিভাবক সদস্য | সদস্য |
09 | লিপি রানী সরকার | বিদ্যোৎসাহী মহিলা সদস্য | সদস্য |
10 | ঊষা রানী সরকার | শিক্ষক প্রতিনিধি | সদস্য |
11 | মো: তাহেজ উদ্দিন | প্রধান শিক্ষক | সচিব |
সন | মোট পরীক্ষার্থী | A+ | A | A- | B | C | D | F | পাশের হার |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
2010 | 11 | - | 4 | 4 | - | 1 | - | 2 | 82% |
2011 | 14 | - | 6 | 3 | 2 | 3 | - | - | 100% |
2012 | 17 | - | 3 | 5 | 2 | 3 | 2 | - | 100% |
2013 | 10 | - | 4 | 4 | 1 | 1 | - | - | 100% |
2014 | 10 |
১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মোট শিক্ষা বৃত্তি প্রাপ্ত ৩৮ জন।
এই বিদ্যালয়ে এম.বি.বি.এস ডাক্তার ৪ জন, পল্লী ডাক্তার ২ জন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক 07 জন।
বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী বৃদ্ধিসহ তাদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা করা এবং স্থানীয় জনগনকে উদ্বুদ্ধ করার সক্রিয় প্রচেষ্টা নিতে হবে। এতে শিক্ষকদের সক্রিয় প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে।
গ্রাম: দাসকান্দি বয়ড়া, ডাকঘর+উপজেলা: হরিরামপুর, জেলা: মানিকগঞ্জ। উপজেলা সদর হতে দক্ষিণে মাত্র 10 মিনিট পাঁয়ে হেটে যাতায়াত করা যায়।
1. মো: আওলাদ হোসেন
2. জসিম উদ্দিন
3. মো: মোস্তফা আহাম্মেদ
4. বঙ্কিম চন্দ্র মন্ডল
5. মো: শামীম মিয়া
6. আন্না রানী মন্ডল
7. কৃষ্ণা রায়
8. সুশীল রায়
9. নার্গিস আক্তার
10. ফরিদা আক্তার
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস