ত্রয়োদশ শতাব্দীতে অথৈ জলরাশি থেকে জেগে উঠা যে সকল ভূ-খন্ড নিয়ে মানিকগঞ্জ অঞ্চলে হরিরামপুর ঐ ভূ-খন্ডেরই প্রাচীনতম জনপদ। হরিরামপুরের আদি নাম হরিরামনগর। আর লেছড়াগঞ্জ ছিল এই নগড়ের প্রধানতম বাণিজ্যকেন্দ্র। সম্ভবত: এ করণেই কালক্রমে এই লেছড়াগঞ্জই হরিরামপুরের থানা সদর হিসাবে মার্যাদা পায়।
ধারাবাহিক নদী ভাঙ্গন আর পিছিয়ে পড়া যোগাযোগের কারণে মহকুমা এই থানা সদরটি উচ্চ শিক্ষার সেক্ষে দারুণভাবে পিছিয়ে থাকে। আশপাশে দু-একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে উঠলেও উচ্চ শিক্ষার সেক্ষে দীর্ঘদিন এ এলাকাটি অবহেলিত থাকে।ভাগ্যবানদের কেউ কেউ ঢাকায় এসে কিংবা কেউ সুদূড় মহকুমা সদরে জায়গীর থেকে পড়াশোনা চালাতো পারত।
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে অথৈ জলরাশি থেকে জেগে উঠা যে সকল ভূ-খন্ড নিয়ে মানিকগঞ্জ অঞ্চলে হরিরামপুর ঐ ভূ-খন্ডেরই প্রাচীনতম জনপদ। হরিরামপুরের আদি নাম হরিরামনগর। আর লেছড়াগঞ্জ ছিল এই নগড়ের প্রধানতম বাণিজ্যকেন্দ্র। সম্ভবত: এ করণেই কালক্রমে এই লেছড়াগঞ্জই হরিরামপুরের থানা সদর হিসাবে মার্যাদা পায়।
ধারাবাহিক নদী ভাঙ্গন আর পিছিয়ে পড়া যোগাযোগের কারণে মহকুমা এই থানা সদরটি উচ্চ শিক্ষার সেক্ষে দারুণভাবে পিছিয়ে থাকে। আশপাশে দু-একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে উঠলেও উচ্চ শিক্ষার সেক্ষে দীর্ঘদিন এ এলাকাটি অবহেলিত থাকে।ভাগ্যবানদের কেউ কেউ ঢাকায় এসে কিংবা কেউ সুদূড় মহকুমা সদরে জায়গীর থেকে পড়াশোনা চালাতো পারত।
এরই দীর্ঘদিন পর ১৯৮৭ সালে হরিরামপুর উপজেলা সদরে গড়ে উঠে বিচারপতি নূরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ। তবে শুরুতে কলেজটির নামকরণ ছিল ‘হরিরামপুর উপজেলা মহাবিদ্যালয়’ হিসাবে। শুরুটা হয়েছিল বর্তমান এম,এ, রাজ্জাক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। সে সময় ঐ বিদ্যালয়টি হয়নি। সেখানে ছিল বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়, আর ছিল পুরনো ডাকবাংলো।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যে সকল ব্যক্তিদের অবদান ছিল তাদের মধ্যে জনাব সামসুদ্দিন আহমেদ, নিতাই সরকার, আওলাদ চেয়ারম্যান, দেওয়ান রব, মোশারফ চেয়ারম্যান, মজিবর কন্ট্রাকটার, আয়নাল ফকির, নরেশ মাস্টার, চুন্নু মাস্টার, হেনা মিয়া, আজাহার উদ্দিন, নরেশ চৌধুরী, জলিল মোল্লা, সাইদুর, বঙ্কিম, মিরাজ, সহিদ প্রমুখ। এ সময় বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান জনাব এ,কে,এম নুরুল ইসলাম। এলাকাবাসীর আগ্রহে উপরাষ্ট্রপতি রাজী হলে কলেজটার নাম পরিবর্তন করে তার নামেই নামকরণ করা হয়। শুরুতে ছাত্র ভর্তি ছিল .........। কিন্তু শিক্ষক সংখ্যা ছিল অপ্রতুল। বেতন না থাকায় ........ তেমন কেউ কাজে যোগ দিতে অপ্রস্তুত ছিল। তবে প্রশাসনের ভূমিকাটা ছিল দারুণ। উপজেলা নির্বঅহী কর্মকতৃঅ জনাব মনিরুজ্জামান খান, বি,আর,ডি,বি অফিসার জনাব আব্দুর রশিদ, সমাজসেবা অফিসার.................... কলেজে ক্লাশ নিতেন। এছাড়া ব্যাংক কর্মকতৃঅ নারায়ন চন্দ্র মন্ডল, ফ্যামিলি প্ল্যানিং অফিসার জনাব মহিউদ্দিন, সুলতানপুরের আবুল ইসলাম, দিয়াবাড়ীর লিপিকা, মীর মোখছেদসহ আরো অনেকেই বিনা পারিশ্রমিকে ক্লাশ নিতেন।
এলাকার লোকজনের সহযোগিতাও দারুণ সহায়ক ছিল। উপজেলা প্রশাসন কান্ঠাপাড়া কাঠের ব্রিজটি ভবনের জন্য কলেজকে দান করে। অনিল শীল সামান্য টাকা নিয়ে কলেজের বর্তমান জায়গা কলেজকে লিখে দিলেন। খাবাশপুরের সুবোধবাবু কলেজকে একটি বেল (ঘন্টা) কিনে দিলেন। কান্ঠাপাড়ার প্রদীপ মেম্বার বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে এসে হাত কেটে রক্ত ঝড়ালেন।
কলেজের প্রথম ছেলেমেয়েরা প্রথমেই এই কলেজে সেন্টারে পরিক্ষা দেবার সুযোগ পায়। এমনকি কৌড়ী কলেজের ছেলেমেয়েরাও এখানকার পরিক্ষা কেন্দ্রে পরিক্ষা দিতে আসে। কিন্তু পরিক্ষা গ্রহণের কোন অভিজ্ঞতা কোন শিক্ষকের না খাকায় পাটগ্রাম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব সামসুদ্দিন আহমেদ, হরিপদ স্যার, মনির স্যারসহ মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের জনাব ............... স্যার পরিক্ষা গ্রহণের কাজে শিক্ষকদের সহযোগিতা করে কলেজকে ঋণি করে রাখেন।
শুরুতে কলেজটির নিজস্ব ভবন ছিল না। নিজস্ব জায়গা ছিলনা। আজ এসবের সব হয়েছে। এখানে ডিগ্রী হয়েছে, আইটি ভবন হয়েছে।
সভাপতি: এ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, প্রশাসক, জেলা পরিষদ, মানিকগঞ্জ । (এ্যাডহক কমিটি)
বিগত ৫ বছরের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল:
সন | শাখা | পরীক্ষার্থীর সংখ্যা | A+ | A | A- | B | C | D | মোট পাস | পাশের হার
|
২০১০ | মানবিক | 52 | - | 13 | 13 | 12 | 07 | 01 | 46 | 81.65% |
ব্যবসায় | 42 | - | 14 | 15 | 07 | 03 | - | 39 | ||
বিজ্ঞান | 15 | - | 01 | 02 | 01 | - | - | 04 | ||
২০১১ | মানবিক | 57 | - | 07 | 09 | 15 | 10 | - | 41 | 76.51% |
ব্যবসায় | 52 | 03 | 24 | 14 | 07 | 03 | - | 51 | ||
বিজ্ঞান | 23 | 01 | 04 | 01 | 03 | 13 | - | 09 | ||
২০১২ | মানবিক | 97 | 02 | 10 | 05 | 22 | 08 | 01 | 48 | 67.78% |
ব্যবসায় | 67 | 03 | 29 | 18 | 11 | 06 | - | 67 | ||
বিজ্ঞান | 16 | 01 | 02 | 01 | 01 | 02 | - | 07 | ||
২০১৩ | মানবিক | 161 | - | 16 | 26 | 44 | 27 | - | 113 | 74.89% |
ব্যবসায় | 70 | 03 | 20 | 23 | 10 | 08 | - | 64 | ||
বিজ্ঞান | 16 | 02 | 01 | 03 | - | 02 | - | 08 | ||
২০১৪ | মানবিক | 173 | 01 | 27 | 28 | 33 | 46 | - | 135 | 83.19% |
ব্যবসায় | 48 | 01 | 27 | 07 | 08 | 04 | - | 47 | ||
বিজ্ঞান | 17 | - | 09 | 04 | 02 | 01 | - | 16 |
বিচারপতি নূরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ এর তথ্য সংগ্রের কাজ চলছে। খুব দ্রুতই তথ্য আপলোড করা হবে।
প্রতিবছর ক্রীড়া ক্ষেত্রে জেলা আঞ্চলিক ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাফল্য লাভ।
ভবিষ্যতে কলেজটিকে অনার্স কোর্স চালু করার পরিকল্পনা আছে।
মো: সেলিমুজ্জামান খান, অধ্যক্ষ, বিচারপতি নূরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ।
মোবাইল: 01711848509। যোগাযোগ: উপজেলা সদর হতে মাত্র 1 কি.মি. সম্পূর্ণ পাকা রাস্তা ।
বিচারপতি নূরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ হতে প্রতিবছরই এ+ পেযে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস