হরিরামপুরের উল্লেখযোগ্য নদী পদ্মা ও ইছামতি । হরিরামপুর উপজেলাটি পদ্মা নদীর মাধ্যমে দ্বিখন্ডিত হয়েছে। নদীরএক তীর সংলগ্ন পানি উন্নয়ণ বোর্ড কর্তৃক বেড়ী বাধ নির্মাণ করা আছে। পদ্মা নদীর পানি দ্বারা কৃষিকাজ করা হয়। অধিকন্তু এই নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যায়।
ইছামতি নদী : হরিরামপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী একটি অন্যতম প্রাচীন নদী। পদ্মা, ধলেশ্বরী ও যমুনা প্রভৃতি বড় বড় নদীর খাত পরিবর্তন করে ও ব্যাপক ভাঙ্গা চোরার ফলে ভূগঠনে যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তাতে ইছামতির আদি খাত এবং তার উৎস্য মুখ খুজে পাওয়া যায়। ইছামতি নদীর একাধিক প্রবাহ হরিরামপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একটি প্রবাহ কামারকান্দি এবং চৌকিঘাটা মধ্যবর্তী ইছামতির খাত থেকে উত্তর-পূর্ব দিয়ে তৎপর দক্ষিণগামী হয়ে হারুকান্দি, ভাটিকান্দি, রামচানপুর লক্ষীকোলের নিকট পূর্বদিকে মোড় নিয়েছে। অত:পর তা আজিমনগর এর নিকট দক্ষিণগামী হয়ে সৈয়দনগরের পাশ থেকে মির্জাপুরের নিকট পদ্মায় মিশেছে। হরিরামপুর উপজেলা সদরের নিকট ইছামতি থেকে অন্য একটি প্রবাহ পূর্বগামী হয়ে সুতালড়ির দক্ষিণ দিক দিয়ে দ্বিতীয় প্রবাহ মিশেছে। মানিকনগরের নিকট থেকে অন্য একটি প্রবাহ দক্ষিন দিক দিয়ে ছত্রজিৎপুর, রঘুনাথপুর এবং জয়পুরের নিকট প্রবাহিত হয়ে পদ্মার ধারায় প্রবাহিত হতো, পরিত্যক্ত উক্ত প্রবাহটি এখন ডালামারার বিল নামে পরিচিত।
পদ্মা নদী : এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী। শিবালয় এবং হরিরামপুর উপজেলার পশ্চিম এবং দক্ষিণ সীমান্তে বর্তমানে পদ্মা নধী প্রবাহিত। গঙ্গা নদীর প্রবাহ বাংলাদেশে পদ্মা নদী নামে পরিচিত। হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর, রামকৃষপুর, বয়ড়া, লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর, ধূলশুড়া, সুতালড়ি ও হারুকান্দি ইউনিয়ন পদ্মা নদীর তীরবর্তী ইউনিয়ন। পদ্মা নদীর কলগ্রাসে লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর, সুতালড়ি ও ধুলশুড়া ইউনিয়নের সম্পূর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। এ সকল ইউনিয়নগুলো বর্তমানে কিছু পদ্মা নদীর চর জেগে উঠে বিস্তৃত রয়েছে।এ ছাড়াও বয়ড়া, কাঞ্চনপুর, রামকৃষপুর ও হারুকান্দি ইউনিয়নের বেশীরভাগ অঞ্চল পদ্মা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ সকল এলাকার লোক এখন বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS